খতিয়ান অনুসন্ধান নিয়ম ২০২৫

অনলাইনের মাধ্যমে এখন প্রায় সব ধরনের খতিয়ান হাতের মুঠোয় পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে সবাই জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান কারন এর মাধ্যমে জমির মালিকের নাম, পরিচয়সহ, জমির অন্যান্য তথ্য বিস্তারিতভাবে জানা যায়। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সুবিধা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ জরিপ বিভাগের সর্বশেষ প্রস্তুস্কৃত খতিয়ান হল আর,এস, খতিয়ান। তবে আর এস খতিয়ান কে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে মানুষ চিনে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বি,এস, খতিয়ান; বি,আর,এস, খতিয়ান; সিটি জরিপ, মহানগর জরিপ ইত্যাদি। অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য একটা প্রপার গাইডলাইন থাকা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলে আমরা জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

খতিয়ান অনুসন্ধান

জমির খতিয়ান বা পর্চা কি?

জমির খতিয়ান কে অনেকেই জমির পর্চা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। এই পর্চা শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে। জমির খতিয়ান বা পর্চা হলো ভূমি মালিকানার একটি সরকারি দলিল। এটি জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর, খাজনা এবং অন্যান্য বিবরণ সহ জমির মালিকানার প্রমাণস্বরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। অপরদিকে, খতিয়ান হলো জমির মালিকানার একটি বিস্তারিত হিসাব। এতে জমির মালিকের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, জমির দাগ নম্বর, ভূমির পরিমাণ, অংশ, খাজনা ইত্যাদি বিবরণ থাকে। এটি ভূমি জরিপকালে তৈরি করা হয় এবং জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?

জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য দুইটি পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। পদ্ধতি দুটি হল: 

  • অনলাইনের মাধ্যমে, 
  • সশরীরে ভূমি অফিসে গিয়ে।

অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করতে কি কি লাগবে?

অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করার জন্য আপনাকে প্রথম এ জমি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। অর্থাৎ জমিটি কোথায় অবস্থিত এবং জমি সংক্রান্ত অন্যান্য যেসব বিষয়বস্তু রয়েছে সেগুলো আয়ত্তে রাখুন। জমিটি যেখানে অবস্থিত সেই বিভাগের নাম, ঠিকানা, জেলার নাম, গ্রাম বা থানার নাম জানার চেষ্টা করুন। 

এছাড়াও জমির মৌজার নাম, জমিটি যেখানে অবস্থিত সেই উপজেলার নাম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও অনলাইনে জমির খতিয়ান বের করার জন্য খতিয়ান নাম্বর, ঐ জমির দাগ নম্বর, জমির মালিকের নাম, পিতা ও স্বামীর নাম জেনে রাখা জরুরী। জমিটির দাগ নম্বর রয়েছে কিনা এবং যদি থাকে তা জানার চেষ্টা করুন। এই বিষয়বস্তুগুলো আয়ত্তে থাকলেই খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করা সহজ হবে।

জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায়

জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন দুটো পদ্ধতিই রয়েছে। জমির খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করার জন্য যা যা করবেন তা হলো:

  • প্রথমে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যান: https://eporcha.gov.bd/।
  • এরপর, “খতিয়ান অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করুন।
  • আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করুন।
  • খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর লিখুন।
  • “অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করুন।
  • আপনার কাঙ্খিত খতিয়ানটি প্রদর্শিত হবে।

এছাড়াও, আপনি আপনার স্মার্টফোনে “e-Khatian” মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন। যদি আপনি অনলাইন পদ্ধতিতে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে না পারেন, তাহলে আপনি স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন। এর জন্য যা যা করতে হবে:

  • আপনার নিকটবর্তী ভূমি অফিসে যান।
  • খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিন।
  • প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করুন।
  • ভূমি অফিসের কর্মীরা আপনাকে খতিয়ান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।

নিচে আমরা ছবির মাধ্যমে আরো বিস্তারিতভাবে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।

অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান

আপনার নিজস্ব ব্যবহৃত কম্পিউটারের মাধ্যমে বা কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা সম্ভব। জমির পর্চা যাচাই বা দাগের তথ্য যাচাই এখন বেশ সহজ একটি প্রক্রিয়া। ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে আপনি কম্পিউটারের মাধ্যমে সরাসরি প্রবেশ করে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। নিচে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো।

১) ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে প্রথমে প্রবেশ করতে হবে https://www.eporcha.gov.bd উক্ত ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে যা আমরা নিচের ছবিতে তুলে ধরছি।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

এটি খতিয়ান অনুসন্ধান এর হোম পেজ বলা যেতে পারে। আপনার জমির ধরন অনুযায়ী আপনাকে এখান থেকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন ধরনের জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন।

২) খতিয়ান অনুসন্ধান করুন

অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান সাধারণত দুইটি পদ্ধতিতে করা যেতে পারে। একটি হল সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান, এবং অন্যটি হল নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান। আপনি যখন জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে যাচ্ছেন তার অর্থ আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি খতিয়ান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। 

তাই প্রথমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় খতিয়ান অনুসন্ধান এর উপর ক্লিক করুন। আপনার প্রয়োজনীয় খতিয়ান সিলেক্ট করে আমাদের নিচে দেখানো পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। তবে আপনি সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান বা নাম যদি হতেন অনুসন্ধান করতে চান, দুটো পদ্ধতি প্রায় একই ধরনের।

আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান

অনলাইন থেকে আরএস খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে প্রবেশ করতে হবে dlrms.land.gov.bd এই লিংকে। যেকোনো জমির আরএস খতিয়ান সম্পর্কিত কিছু তথ্য অনুসন্ধান করলে সেই জমির মালিকের নাম খুঁজে বের করা যায়। আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ অংশে প্রবেশ করতে পারেন। এরপর “সার্ভে খতিয়ান” অপশনের সিলেক্ট করুন এবং এরপর ধাপে ধাপে নিজের তথ্যগুলো পূরণ করলেই আপনি আর এস খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরে খতিয়ান অনুসন্ধান এর জন্য যেসব তথ্যগুলো সিলেক্ট করতে হবে তা হল: 

  • বিভাগের নাম লিখুন, 
  • জেলার নাম লিখুন, 
  • উপজেলার নাম লিখুন, 
  • খতিয়ানের ধরন সিলেক্ট করুন, 
  • মৌজা/ কিংবা জে এল নং দিয়ে অনুসন্ধান করে সিলেকশন করুন, 
  • খতিয়ান নাম্বার জানা থাকলে তা বসান, 
  • দাগ নম্বর বা জমির মালিকের নাম সিলেক্ট করুন।

জমি সংক্রান্ত যেসব তথ্য আপনি অনলাইনে প্রবেশ করিয়েছেন সেসব তথ্যগুলো যদি ঠিক থাকে এবং সার্ভারের তথ্যের সাথে মিল থাকে তাহলে আপনি যদি সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই দেখতে পাবেন। তবে অনেক সময় আপনার প্রদত্ত তথ্যের সাথে সার্ভারের তথ্যের যদি মিল না থাকে তাহলে আপনার জমি সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপিত হয় না। সে ক্ষেত্রে ভূমি অফিসে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করে খতিয়ান অনুসন্ধান করে নিতে হয়।

নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান

ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে যে ইন্টারফেস আসে সেখান থেকে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান অপশন এ ক্লিক করতে হবে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য। নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান অপশন এ ক্লিক করার পর নামজারি খতিয়ানের বিভিন্ন তথ্য যেমন: জেলা, উপজেলা, বিভাগ এবং খতিয়ানের অন্যান্য তথ্য এখানে পূরণ করতে হবে। 

নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান​

যখন আপনার নাম যদি খতিয়ান অনুসন্ধান এবং সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পন্ন হবে তখন আপনি খতিয়ানের সকল তথ্য দেখতে পাবেন। খতিয়ানের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য “খতিয়ান আবেদন বাটন” অপশনে ক্লিক করুন এবং একটি একটি করে কপি ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংগ্রহ করুন।

সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান

যারা প্রতিনিয়ত অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য এটি বেশ সহজ ব্যাপার। কিন্তু যারা নতুন তাদের জন্য বেশ কঠিন হতে পারে। কারন অনলাইনে জমি সম্পর্কিত কোন ভুল তথ্য ইনপুট করলে কোন ভাবেই সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান সম্ভব হবে না। সার্ভে খতিয়ান হোক বা নামজারি খতিয়ান হোক, আপনাকে অবশ্যই সঠিক তথ্য ইনপুট করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান নামে যে অপশন আসবে তা সিলেক্ট করুন। পরবর্তীতে নিচে দেখানো ছবির মতো একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে এবং সেখানে আমাদের দেখানো পদ্ধতিগুলোতে ক্লিক করার চেষ্টা করুন। 

সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান

সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে যেসব তথ্যপূরণ করতে হবে তা হল: 

  • জমির বিভাগ নির্বাচন করুন,
  • জমি যেখানে অবস্থিত সেখানকার জেলা নির্বাচন করুন, 
  • জমি যেখানে অবস্থিত সেখানকার উপজেলা নির্বাচন করুন, 
  • জমির মৌজা নির্বাচন করুন।

উপরিউক্ত তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে পূরণ করা হয় তাহলে পরের কলামে নির্ধারিত মৌজার সমস্ত খতিয়ান নম্বর এবং জমির মালিকের নামও চলে আসবে। অনেক সময় এখানে জমির খতিয়ান নাম্বার উল্লেখ করা থাকে না। সে ক্ষেত্রে আপনি উপরের সার্চ বক্সে ক্লিক করতে পারেন। এখানে জমির খতিয়ান নাম্বার এবং মালিকের নাম লেখার পর পরবর্তী পেজ সামনে চলে আসবে।

বি এস খতিয়ান অনলাইনে দেখার নিয়ম

পূর্বের আরএস খতিয়ান সংশোধন করার মাধ্যমে বর্তমানে বি এস খতিয়ান তৈরি করা হয়েছে। আপনার নিজের কোন তথ্য বা পিতা-মাতার অথবা দাদা-দাদির নামের কোন রেকর্ড সংশোধিত হয়ে হয়ে থাকলে তা বিএস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হবে। বিএস খতিয়ান অনলাইনে দেখার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে: 

  • dlrms.land.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করুন, 
  • সার্ভে খতিয়ান অপশনটি বাছাই করুন এবং সেখান থেকে বিভাগ> জেলা> উপজেলা> মৌজা কিংবা জেএল নং সিলেক্ট করুন,
  • খতিয়ানের ধরন থেকে বি এস অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং দাগ বা খতিয়ান নম্বর অনুসন্ধান করুন।

সকল তথ্য সঠিক থাকলে এখান থেকে নতুন রেকর্ড সমূহ এবং জমির মালিক ও দাগ নম্বর সমূহ দেখতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন ক্ষতি হন বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে মাত্র ১০০ টাকা পরিশোধ করার মাধ্যমে তা করতে পারেন।

খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড

জমির খতিয়ান অনুসন্ধানের পর যে কেউ চাইলে খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংগ্রহ করতে পারে। তবে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করে যে অনলাইন কপি ডাউনলোড করা হয় তা কোনভাবেই সার্টিফাইড কপি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয় না। সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করার জন্য ‘খতিয়ান আবেদন’অপশনে ক্লিক করে আবেদন করতে হয়। সেজন্য আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যপূরণ, মোবাইল ভেরিফিকেশন ও পেমেন্ট পরিশোধ করলেই আপনি আপনার সার্টিফিকেট কপি হাতে পাবেন।

খতিয়ান আবেদন ট্রেকিং

খতিয়ানের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য অথবা খতিয়ান আবেদন ট্রেকিং করার জন্য https://eporcha.gov.bd/ ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে “আবেদনের অবস্থা” নামক একটি অপশন আসবে। এই অপশনে প্রবেশ করে রেফারেন্স নাম্বার লিখলেই আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিচে ছবির মাধ্যমে দেখানো হলো: 

খতিয়ান আবেদন ট্রেকিং

খতিয়ান FAQ

১) ১ নং খাস খতিয়ান কি?

উঃ সরকারি জমিকে ১ নং খাস খতিয়ান নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

উঃ হ্যাঁ, খতিয়ান নাম্বার এবং প্লট নাম্বার একই। খতিয়ান নাম্বার হলো এমন একটি নাম্বার যা একটি নির্দিষ্ট প্লটের জন্য বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।

উঃ নাম দিয়ে খতিয়ান নাম্বার বের করার জন্য eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে জমির ঠিকানা ও মৌজা উল্লেখ করলে নাম দিয়ে খতিয়ান নাম্বার বের করা যাবে।

উঃ খতিয়ান নম্বর বের করার যাবতীয় পদ্ধতি আমরা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করেছি। দয়া করে খতিয়ান নাম্বার বের করার পদ্ধতি জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

শেষ কথা

জমির মালিকের যাবতীয় তথ্য এবং খতিয়ান অনুসন্ধান বর্তমান সময়ে প্রায় সবাই অনলাইনে মাধ্যমে করে থাকে। যেহেতু অনলাইনে মাধ্যমে জমির খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রয়োজন, তাই আমরা আমাদের আজকে আর্টিকেলে তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে আসলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।